মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পূর্ব ঝিনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সজিব (২০) সম্পর্কে ওই স্কুলছাত্রীর দূর সম্পর্কের ফুফা। সজিব প্রায়ই মোবাইলে তার সঙ্গে কথা বলতেন। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে সজিব দেখা করতে বলেন। জরুরি কথা আছে বলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে যান। তারপর পার্শ্ববর্তী চিত্তরঞ্জনের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর সজিবের দুই বন্ধু সোহেল রানা (১৮) ও নাহিদ ইসলাম (১৯) পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
শুক্রবার দিনভর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হয়নি অভিযুক্তরা। পরে বিকেলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেয় ওই স্কুলছাত্রী। ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে। শনিবার সকালে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।